রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় পুজো পুজো গন্ধ পেলেই মনটা ভাল হয়ে যায়। পুজো তো এসেই গেল বলুন…। এ সময় বান্ধবীকে নিয়ে হাত ধরে বেরনোর ইচ্ছে সকলেরই থাকে। আমি একা নই।
একটা গল্প শেয়ার করতে পারি। ২০১৫-র পুজোটা আমার খুব ইন্টারেস্টিং গিয়েছিল। সে বার প্রথম যার সঙ্গে প্রেম প্রেম ভাব হয়েছিল, তার সঙ্গে বেরনো…। তবে আমার কাছে বেরনোটা একটু অন্য রকম। কারণ আমার বান্ধবী যে-ই হোক না কেন, তাকে নিয়ে সিনেমাহলে যেতেই পছন্দ করি। যদিও মেয়েরা একটু রেগে যায়। কেন না ওরা হয়তো এক্সপেক্ট করে প্যান্ডেলে ঘোরা বা খাওয়া। এ বারও সিনেমা দেখার প্ল্যানই রয়েছে।
এ বছর পুজো তো খুব স্পেশ্যাল। একদম জমে গিয়েছে। কারণ, পুজোর ঠিক আগে ২২ সেপ্টেম্বর আমার ছবি ‘ভূমি’ রিলিজ করছে। সঞ্জয় দত্ত রয়েছেন। এটা আমার প্রথম কর্মাশিয়াল ছবি। আমার বন্ধুদের ছোট্ট একটা গ্যাং আছে। সুরঙ্গনা, ঋতব্রত আর কয়েক জন। এ বার পুজোয় আমার ছবি রিলিজ করছে, তাই বন্ধুদের আমি সিনেমা দেখাতে নিয়ে যাব। তা ছাড়া অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রজাপতি বিস্কুট’ রিলিজ রয়েছে। সেই ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এর সময় থেকে লং কানেকশন। ওই ছবিটাও দেখতে হবে।
কলকাতার কয়েকটা পয়েন্ট আছে, যেখানে পুজোর সময় আমি যাবই। যেমন একডালিয়াতে। ওখানে স্কুল ছিল, সাউথ পয়েন্ট। ছোট থেকেই ওই ঠাকুরটা দেখছি। প্রথমে মা-বাবার সঙ্গে। তার পর বন্ধুদের সঙ্গে। তার পর বান্ধবীর সঙ্গে। হা হা হা…। সুতরাং এখন গেলে অনেক স্মৃতি ফিরে আসে। ছোটবেলায় যে লেনগুলোয় দুষ্টুমি করতাম, এখন বান্ধবীর কাছে সে সব নিয়ে গল্প করা যায়। এখানে এই আড্ডা হত, ওখানে ওটা হত…।
আর একটা জিনিস লাস্ট ২-৩ বছর ধরে যোগ হয়েছে। পুজোর সময় বেড়াতে যাওয়া। আসলে লং হলিডে মানে সারা বছরে ৭-৮ দিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার সময় হয় না। অগত্যা পুজো…। যেটা হয় অষ্টমীর রাত পর্যন্ত— কলকাতার আমেজটা এনজয় করি। পোস্ট অষ্টমী বা নবমীর সকাল থেকে আমরা কোনও একটা জায়গায় বেড়াতে চলে যাই। এ বার তো আমি ট্যুর গাইডের কাজ করব। যেহেতু ‘পার্চড’-এর সময় রাজস্থানের অনেকটাই ঘুরে ঘুরে শুটিং করেছি। আড়াই মাস থেকেছি। ফলে এ বার বাবা-মাকে বললাম চলো জয়সলমেঢ়টা ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। আমরা তিন জন এ বার বেড়াতে যাচ্ছি।