বিএমডব্লিউ বরাবর চমক এনেছে তাদের নকশায়। ছবি: রয়টার্স।
পুজোর মরসুমে বিএমডব্লিউ হাজির করল তাদের পেট্রল ইঞ্জিনের এক্স-১। এ দেশে বানানো এই গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় (এক্স শোরুম মূল্য)। চেন্নাইয়ের কারখানায় তৈরি এই গাড়িতে রয়েছে বিশেষ ‘এক্সলাইন’ ট্যাগ। এটা বিএমডব্লিউর বিশেষ ডিজাইন লাইনআপ।
এক্সলাইন বিশেষ করে তাঁদের জন্য, যাঁরা শহরের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড় বা জঙ্গলের মতো দুর্গম জায়গায় গাড়ি চালাতে ভালবাসেন । এক্স-১ এর সামনেই চিরপরিচিত ইঞ্জিন গ্রিল, তাতে মেটালিক ক্রোমের ফ্রেম দূর থেকেই এক্স-১কে নজরে এনে দেয়। ১৮ ইঞ্চির অ্যালয় হুইলের সঙ্গে অ্যালুমিনিয়ামের দরজা, তাতে আবার কোম্পানির নাম, ভিতরে স্পোর্ট লুকিং লেদারের স্টিয়ারিং হুইল— সব মিলিয়ে এক্সলাইনের উপস্থিতি সর্বত্র।
এর সঙ্গেই রয়েছে আংশিক ছাদ খোলার সুযোগ। ভিতরে সাদা অথবা কমলা রঙের আলোর ব্যবস্থা। কানেক্ট ড্রাইভের সুবিধা থাকার দরুণ আপনার স্মার্ট ফোনের সঙ্গে গাড়ির সংযোগ তৈরি করতে পারবেন। গান চালানো থেকে নেভিগেশন, গাড়ি পার্কিং থেকে বিএমডব্লিউ অ্যাপ— সব দেখতে পাবেন সামনের স্ক্রিনে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট যুগের স্মার্ট হেলমেট জার্ভিস, ফিচার শুনলে চমকে যাবেন
দু’লিটারের এই পেট্রল ইঞ্জিনে রয়েছে চারটে সিলিন্ডার। বিএস-৪ স্ট্যান্ডার্ড এই ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ ১৯৫ পিএস ক্ষমতা এবং সর্বোচ্চ টর্ক ২৮০। যথেষ্ট ক্ষমতাশালী এই ইঞ্জিন একেবারে শুন্য থেকে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সময় নেয় মাত্র ৭.৬ সেকেন্ড। এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টা প্রতি ২২৪ কিলোমিটার।
পেট্রল ইঞ্জিনের এই গাড়িতে রয়েছে নতুন বৈশিষ্ট্যের সার্ভোট্রনিক স্টিয়ারিং। যার ফলে গাড়ির গতিবেগ অনুযায়ী আপনার স্টিয়ারিং কাজ করবে। ধরে নিন, আপনি গাড়ি পার্ক করছেন। গাড়ির চাকা এক দিক থেকে আর এক দিকে ঘোরাতে আপনাকে সাধারণত অনেকটা স্টিয়ারিং ঘোরাতে হত। কিন্তু, এখানে গাড়ি কম গতিবেগ দেখলে তার ব্যস্তানুপাতে স্টিয়ারিং-এর ক্ষমতা বাড়াবে। আবার যখন খুব বেশি গতিতে গাড়ি চালাবেন, তখন স্টিয়ারিং-এর ক্ষমতা কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হবে, যাতে আপনি আরও সূক্ষ্ম ভাবে গাড়ি চালাতে পারেন।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম গাড়ির র্যালি হয়েছিল কলকাতায়!
এই গাড়িতে ৭ স্পিডের নতুন অটোম্যাটিক ডাবল ক্লাচ সিস্টেম রয়েছে, যার ফলে গাড়ি চালাতে প্রচণ্ড সুবিধা এবং আরাম। মাইলেজ অনেক বেশি। ফলে সমপরিমাণ দূরত্ব যেতে আগের থেকে কম তেল লাগবে। অর্থাৎ কম কার্বনডাই অক্সাইড উত্পন্ন হবে। ফলে এই গাড়ি এক দিকে পকেট সাশ্রয়ী, অন্য দিকে পরিবেশবান্ধব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy