Advertisement
Durga Puja 2019

মণিকোন্ডায় গত বছরই আমরা দুর্গাপুজো শুরু করলাম

মাত্র আটজনকে নিয়ে শুরু হলেও, লোকমুখে প্রচারিত হয়ে অবিলম্বে শতাধিক সভ্য জড়ো হলেন।

সোমনাথ পাল
মণিকোন্ডা, হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:০৮
Share: Save:

নববর্ষে ক্যালেন্ডার হাতে পেলেই বাঙালি প্রথমে দুর্গাপুজোর দিনক্ষণ দেখে। প্রবাসী বাঙ্গালিরা তো অধীর আগ্রহে থাকেন কবে আসবে ওই চার দিন, হইচই করে কাটাবেন। হায়দরাবাদেও বেশ কয়েকটি বড় সর্বজনীন দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে মণিকোন্ডা অঞ্চলে ইদানীং তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত প্রচুর বাঙালি থাকলেও, স্থানীয় একটা পুজোর অভাব বোঝা যাচ্ছিল।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মূলত দুর্গাপুজোর উদ্দেশ্য নিয়ে ‘উত্তরণ বঙ্গীয় সমিতি’ গড়ে ওঠে। মাত্র আটজনকে নিয়ে শুরু হলেও, লোকমুখে প্রচারিত হয়ে অবিলম্বে শতাধিক সভ্য জড়ো হলেন। উত্তরণের প্রধান শক্তি নবীনদের অদম্য কর্মক্ষমতা ও তথ্যপ্রযুক্তির অভিজ্ঞতা। নিজেদের সাংগঠনিক ক্ষমতা যাচাই করার জন্য, প্রথমে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান করে দারুণ সাফল্য আমাদের উৎসাহ বাড়িয়ে দিল।

জুলাই মাসের প্রথমে স্বেচ্ছাসেবক দলকে কার্যভার বোঝানো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া শুরু হল। পশ্চাদপটে প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে পুরো ব্যাপারটাকে পেশাদারি রূপ দেওয়া হল। বাঙালির মিলনস্থল মাছের দোকানগুলিতে ফেস্টুন দেওয়া, সিনেমা হলে বিজ্ঞাপন, মলে ফ্ল্যাশ মব আমাদের পুজোর কথা শহরের জনগণের কাছে পৌঁছে দিল। পাশাপাশি পুজো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য হল ভাড়া করা, পুলিশ ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া ও পৃষ্ঠপোষক জোগাড়ও চলতে থাকল। প্রতিমা হায়দরাবাদে তৈরি হলেও পুরোহিত, ঢাকি ও রান্নার ঠাকুর মেদিনীপুর থেকে আনা হল।

কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে পুজোমণ্ডপ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের স্টেজজ তৈরি করার পর, অবশেষে পঞ্চমীতে বোধন দিয়ে আনুষ্ঠানিক পুজো শুরু হল। এর পর যথানিয়মে অধিবাস, আমন্ত্রণ ও নবপত্রিকা স্থাপনও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হল।

আরও পড়ুন: গত বছরের পুজোয় ফুচকার স্টল দিয়েছিলেন এক সুইডিশ ভদ্রলোক

ষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকেই দর্শকদের ভিড়ে পুজোর মেজাজ শুরু। রোজ সকালে মহালয়ার চণ্ডীপাঠ শোনানো হয়। প্যান্ডেলের পাশের খাবার দোকানগুলি ভিড়ে উপচে পড়ছিল। সপ্তমী থেকে দশমী রোজ দুপুরে অসংখ্য ভক্ত খিচুড়ি ভোগ পেয়ে তৃপ্ত হয়েছেন। রোজ সন্ধ্যায় উত্তরণের নিজস্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবাইকে মাতিয়ে রেখেছিল। পুজোপাঠ-সহ সব অনুষ্ঠানের লাইভ শো দেখানো হয়েছে। অবশেষে দশমীর দুপুরে সিঁদুর খেলার পরে সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে আমাদের প্রথম পুজো শেষ হয়।

আরও পড়ুন: মাত্র তিন বছরেই ভাবে-উৎসবে জমে গিয়েছে বেলান্দুরের দুর্গাপূজা​

এক বাংলা সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে প্রবাসী সেরা দুর্গাপুজোর পুরস্কারও পেলাম আমরা। এই পুরস্কার আমাদের ভবিষ্যতের পাথেয় হয়ে রইল।

আমাদের এ বছরের পুজো প্রস্তুতি এখন চরমে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE