Advertisement
Durga Puja 2019 Ananda Utsav 2019 Durga Puja Celebrations Tollywood Puja Celebration Celebrity Durga Puja Celebration

রাজের সঙ্গে আলাদা করে পুজো কাটানোর প্ল্যান নেই: শুভশ্রী

আজকাল পুজো এলে সে ভাবে কিছু মিস করি না।

শুভশ্রী

শুভশ্রী

শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:৫১
Share: Save:

পুজো বলতে মনে আসে এক ধরনের পজিটিভিটি। পুজোর দিনগুলো কলকাতা শহরে সবাই খুব আনন্দে থাকে এবং ওই পজিটিভিটি থেকে একটা আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশে। আমার মনে হয় পুজো এলেই আকাশে-বাতাসে সব জায়গায় আনন্দ ছড়িয়ে যায়, পজিটিভিটি ছড়িয়ে যায়। ফলে পজিটিভিটিটা নিশ্বাস নিলেই পাওয়া যায়।

সব মিলিয়ে পুজোর কোনও প্ল্যানিং সত্যি বলতে কি নেই। পয়লা অক্টোবর আমার নেক্সট ছবির লুক সেট আছে। ফলে ব্যস্ততা থাকবেই। তবে পুজো মানে ছুটিও বটে। যেটুকু সময় পাব শাড়ি পরব আর পরিবারের সঙ্গেই কাটাব। পুজো মানেই আমার কাছে শাড়ি। ওই ক’টা দিন রাজেরও কোনও ব্যস্ততা নেই। তবে আলাদা করে রাজের সঙ্গে পুজো কাটানোর কোনও প্ল্যানও নেই। ফ্যামিলি মানে তার মধ্যে রাজও পড়ছে। ফ্যামিলির সকলের সঙ্গে একসঙ্গে কাটাব মানে রাজও থাকবে সেই আড্ডায়। সবাই মিলেই আড্ডা চলবে।

আরও পড়ুন: গভীর রাতে আম্মার সঙ্গে প্যান্ডেল হপিং… কী হত জানেন? জানালেন রাইমা​

পুজোর সময় খাওয়াদাওয়া মানেই আমার কাছে বাঙালি খাবার। পুজো মানেই তো আমাদের কাছে সবকিছুই বাঙালি মতে হবে। শাড়ি, বাঙালি খাবার, আড্ডা সব মিলিয়েই আমাদের পুজো কাটবে। তবে আজকাল পুজো এলে সে ভাবে কিছু মিস করি না। তার মধ্যেও পুজোর সময় তুতো ভাই-বোনদের সঙ্গে মজা করে সময় কাটানোটা খুব মনে পড়ে। আমাদের বর্ধমানের বাড়িতে ওদের সঙ্গে কত মজা হত! একসঙ্গে ঘোরা, একসঙ্গে আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, বাজি ফাটানোর দিনগুলো খুব আনন্দের ছিল। পরে তো কলকাতায় চলে আসি। ধীরে ধীরে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু সেগুলো মিস করি বলা যায় না। কারণ এখনকার পুজোর সময়টাও আমার কাছে খুবই ফেভারিট। সত্যি আমি এই সময়টার দিকে তাকিয়ে থাকি প্রতি বছর, আমার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য।

আরও পড়ুন: মুড অনুযায়ী পুজোর মেকআপ করব: সম্পূর্ণা

বিসর্জনের পর যে খুব মন খারাপ হয় সেটা বলা যায় না। আসলে এখন তো বড় হয়ে গিয়েছি। নানা রকম কাজের মধ্যে থাকি। পুজোর পরে দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যায় প্রতি বছরই। কিন্তু অবশ্যই পরের বছরের পুজোর জন্য একটা অপেক্ষা থাকে। ছোটবেলায় পুজো কেটে গেলে কষ্ট হত। কারণ আবার পড়াশোনায় ফিরে যেতে হত। এখন পড়াশোনা যেহেতু নেই, খুব একটা দুঃখ হয় সেটা নয়। কিন্তু ওই অপেক্ষাটা থাকে যে পরের বছর আবার কবে পুজো আসবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE