নবরাত্রি উৎসবের দ্বিতীয় দিন দুর্গা পূজিত হন ব্রহ্মচারিণী রূপে।
‘ব্রহ্মচারিণী’ অর্থাৎ দেবী এখানে ব্রহ্মচর্যধারিণী।
এই রূপে বিগ্রহের পরনে সবসময় থাকে সাদা শাড়ি। দেবীর ডান হাতে জপমালা এবং বাঁ হাতে তিনি ধরে থাকেন কমণ্ডলু।
অন্য়ান্য অবতারে দেবী দুর্গার সাধারণত চুল খোলা থাকেন। কিন্তু এখানে বিগ্রহের আলুলায়িত কেশ চূড়াবদ্ধ করে বাঁধা।
পৌরাণিক আখ্য়ান অনুযায়ী, মহাদেবকে স্বামীরূপে পাওয়ার জন্য এই তপস্যা করেছিলেন পার্বতী। কিন্তু যোগীপুরুষ মহাদেবও তখন তপস্যারত।
এদিকে তারকাসুরের আক্রমণে দেবতারা তখন বিপর্যস্ত। একমাত্র শিব-পার্বতীর সন্তানের হাতেই মৃত্যু হতে পারে তারকাসুরের।
ফলে শিবপার্বতীর বিয়ে একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ল দেবতাদের কাছে। তাঁরা দ্বারস্থ হলেন কামদেবের।
মদনদেবের বাণে বিদ্ধ হয়ে তপস্যাভঙ্গ হল মহাদেবের। তাঁর তৃতীয় নয়ন থেকে বার হওয়া অগ্নিবাণে ভস্মীভূত হয়ে গেলেন কামদেব।
অন্যদিকে তাঁকে পাওয়ার জন্য পার্বতীর কঠোর তপস্যা মুগ্ধ কর মহাদেবকে। তবুও তিনি চাইলেন একবার পার্বতীর পরীক্ষা নিতে।
ছদ্মবেশে হাজির হয়ে নিজের নামেই নিন্দা করলেন মহাদেব। কিন্তু তাতেও টলানো গেল না পার্বতীর সংকল্প।
এ বার পার্বতীর প্রতি মহাদেবের হৃদয় দুর্বল হল। বিয়ে সম্পন্ন হল দু’জনের। পরে তাঁদের সন্তান কার্তিক বা ষড়ানন বধ করেন তারকাসুরকে।
মহাদেবের জন্য তপস্যারত ব্রহ্মচারিণী দেবীরই উপাসনা ভক্তরা করেন নবরাত্রির দ্বিতীয় দিন।
Or
Re-send email
Cancel
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy