চটপট বানিয়ে নিন নিরামিষ খিচুড়ি।
দশমী তো শেষ। কিন্তু এবার ঘর আলো করে আসছেন লক্ষ্মী। লক্ষ্মীপুজো হয় প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই। আর পুজো মানেই চোখ বন্ধ করে খিচুড়ি ভোগের আয়োজন করা।
একই স্বাদের নিরামিষ খিচুড়ির স্বাদ কার না বদলাতে ইচ্ছে করে! আর সঙ্গের আলুর দম বা লাবড়ার তরকারিতেও বদল এনে খিচুড়ি ভোগে আনুননতুনত্ব।
তাই আজ আপনাদের জন্য রইল নিরামিষ খিচুড়ির নতুন ধরনের রেসিপি ও ছানা-নারকেলের যুগলবন্দিতে পটলের স্বাদবদলের খোঁজ।
আরও পড়ুন: স্ন্যাক্সে নতুন স্বাদ চাই? এগুলো বানিয়ে ফেলুন ঝটপট
সব্জিখিচুড়ি
পুজোর ভোগে খিচুড়ি তো থাকবেই। কিন্তু সেই খিচুড়িকেই মন মতো করে বাড়তি কিছু উপকরণ যোগ করে রান্না করলে খিচুড়ির মতো উপাদেয় আর কী হতে পারে! তাই আজ আপনাদের জন্য রইল সব্জিখিচুড়ির রেসিপি।
উপকরণ:
গোবিন্দভোগ চাল: ২ কাপ
সোনা মুগের ডাল: ২ কাপ
ছোলার ডাল: ১/২ কাপ
মটর ডাল: ১/২ কাপ
টম্যাটো বাটা: ১ কাপ
কাঁচালঙ্কা কুচি: ১ চা চামচ
আদা বাটা: দেড় টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
ধনেপাতা: সাজানোর জন্য
ঘি: ২ টেবিল চামচ
সর্ষের তেল: পরিমাণ মতো
নুন: স্বাদমতো
চিনি: স্বাদমতো
ফোড়নের জন্য:
শুকনো লঙ্কা: ২-৩টি
তেজপাতা: ২-৩টি
সাদা জিরে: ১/২ চা চামচ
সব্জি:
ফুলকপি: ১/২ কাপ কুচানো
মটরশুঁটি: ১/২ কাপ
বিনস: ১/২ কাপ কুচানো
গাজর: ১/২ কাপ কুচানো
ঝিঙে: ১/২ কাপ কুচানো
লাল কুমড়ো: ১/২ কাপ কুচানো
আলু: ১/২ কাপ কুচানো
প্রণালী:
সমস্ত সব্জি ছোট ছোট করে কেটে অল্প তেলে ভাপিয়ে নিন। চাল পাঁচ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে জল ঝরিয়ে রেখে দিন। এবার শুকনো কড়াইতে মুগ ডালটা ভেজে নিন।। ছোলা ও মটর ডাল একসঙ্গে সিদ্ধ করে নিন। এরপর কড়াইতে মুগের ডাল দিন। পরিমাণ মতো গরম জল দিয়ে সিদ্ধ করুন। ডাল সিদ্ধ হয়ে গেলে চাল, মটর ডালআর ছোলার ডাল দিয়ে দিন। এবার ভাপানো সব্জিটা এক চামচ ঘিয়ে ভেজে নিন। চাল, ডাল সিদ্ধ হয়ে এলে সব্জিগুলো দিয়ে দিন। আদা বাটা, জিরে গুঁড়ো, টম্যাটো বাটা, কাঁচালঙ্কা কুচি ও স্বাদমতো নুন ও চিনি দিন। এরপর বাকি এক চামচ ঘিয়ে ফোড়নটা দিয়ে খিচুরিতে দিয়ে দিন। উপরে নারকেল কোরা ও ধনেপাতা দিয়ে পরিবেশন করুন।
পটল ছানার দোলমা
আরও পড়ুন: এ সব মিষ্টি খেলেও বাড়বে না ওজন! বিজয়ায় বানিয়ে ফেলুন এ ভাবে
খিচুড়ির সঙ্গে ভাজাভুজি ও সব্জির তরকারি তো অনেক খেলেন। এবার বরং বানিয়ে নিন পটলের এই রেসিপি। মিষ্টি স্বাদের এই রান্না কিন্তু খিচুড়ির পাশাপাশি রুটি-পরোটার সঙ্গেও বেশ লাগে।
উপকরণ:
৮টি(চেঁচে নিয়ে মুখটা কেটে ভিতরের বীজগুলো ফেলে দিন)
ছানা: ২ কাপ
কাঁচালঙ্কা বাটা: ১ চা চামচ
নারকেল কুরানো: ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
আটা: ২ চা চামচ
চিনি: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদমতো
ঘি: পরিমান মতো
সাদা তেল: পরিমান মতো
গ্রেভির জন্য:
আদা বাটা: ২ চামচ
টক দই: ১/২ কাপ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
ধনেপাতা কুচি: ১ চা চামচ
চিনি: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদ মতো
প্রণালী:
পটলগুলো তেলে ভেজে তুলে রাখুন। এইবার ছানাটা একই তেলে আদা বাটা, সামান্য নারকেল কোরা, পরিমান মতো নুন ও চিনি দিয়ে ভেজে নিন। গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হলে আট ভাগ করে পুরটা পটলের মধ্যে পুরে দিন। আটা অল্প জল দিয়ে মেখে নিন পটলের মুখ আটকানোর জন্য। পটলের মুখটা আটকে নিয়ে কড়াইতে তেল দিয়ে দিন। বাকি সমস্ত মশলা দই সমেত কড়াইতে দিয়ে ভাল করে কষে নিন। নুন ও চিনি দিন স্বাদমতো। মনে রাখবেন এ রান্না কিন্তু একটু মিষ্টি মিষ্টি হবে খেতে। এরপর এতে সামান্য গরম জল দিয়ে পটলগুলো দিয়ে দিন। উপর থেকে ঘি ছড়িয়ে, ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy