Advertisement
Ananda Utsav 2019

ঘর সাজানোয় বাদ যাবে না বাথরুমও, কী ভাবে? রইল টিপস

কেমন হবে বাথরুমের সাজ? জানালেন বিশেষজ্ঞ

আধুনিক সেটাইলে বাথরুম সজ্জা

আধুনিক সেটাইলে বাথরুম সজ্জা

সুদীপ ভট্টাচার্য
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৩৫
Share: Save:

‘স্নানঘর’। সাধারণত এই শব্দ আমাদের রোজনামচায় খুব একটা ব্যবহার করা হয় না। আমরা মূলত বাথরুম, টয়লেট এসব বলেই অভ্যস্ত।কারণও রয়েছে। শুধু স্নানঘর বাঙালি বাড়িতে খুব একটা বানানো হয় না।মফস্‌সল কিংবা গ্রামের কিছু বাড়িতে যদিও শুধু স্নানের জন্যে আলাদা ঘর থাকে। সেই ঘরের মধ্যে কোথাও ছোট চৌবাচ্চা রয়েছে,কোথাও বা টিউবওয়েল আবার কোথাও বা বালতিতে করে জল তুলে রাখার ব্যবস্থা।আধুনিক স্নানঘরে সেটা হয় না খুব একটা। যদিও কোন ফ্ল্যাটে বা বাড়িতে জাকুজি বা স্ট্রিম বাথের ব্যবস্থা থাকলে তার জন্যে আলাদা ব্যবস্থা রাখতেই হয়।

বরং স্নানের রকমফের নিয়ে আমরা কথা বলতে পারি। একমাত্র পাউডার টয়লেট বাদ দিয়ে বাকি সব টয়লেটেই স্নানের ব্যবস্থা থাকে।একটা আয়তকার শেপের বাথরুমে দরজা পেরিয়ে প্রথমে বেসিন,তারপর কোমোড এবং একেবারে শেষ প্রান্তে স্নানের জায়গা এটাই প্রচলিত ডায়াগ্রাম। এই হিসেবে সহজেই বাথরুমের ড্রাই জোন আর ওয়েট জোনকে আলাদা করে রাখা যায়। শেষ প্রান্তের মেঝে অল্প একটু নীচুতে হলে স্নানের জলে বাথরুম ভিজে থাকবে না।স্নানের জায়গার উপরে স্টিল রড লাগিয়ে সেখানে এক্রেলিক কার্টেন লাগিয়ে দিলে স্নানের জলের ভিতরের মেঝে পর্যন্ত আসার প্রায় কোন সুযোগ থাকে না। দেওয়ালে বসিয়ে নিন জামাকাপড় রাখার র‌্যাক ও বাথরুম কিট রাখার জায়গা। আয়না যদি রাখার জায়গা না থাকে, না থাক, ক্ষতি নেই। দেওয়াল জোড়া আয়না তখনই করুন, যদি বাথরুম আকারে অনেক বড় হয়।

এখন নানারকম শাওয়ার পাওয়া যায়,শাওয়ার প্যানেলও পাওয়া যায়।দেওয়ালে লাগিয়ে দিলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঝর্ণা ধারার মত জল এসে লাগবে শরীরে।স্প্রিড কন্ট্রোল করা যায়।গরম ঠান্ডা জল মিশিয়ে গা সওয়া উষ্ণতাও ছড়িয়ে দেওয়া যায় শরীরে।মাথার উপরের দিকেও সিলিংএ লাগিয়ে রাখা যায় শাওয়ার।

আরও পড়ুন: কম খরচে ভোল বদলান রান্নাঘরের, রইল সহজ উপায়

আরও পড়ুন:বাতিল প্লাস্টিকের বোতলেই ফলান সব্জি-মশলা! কোন গাছ কী ভাবে হবে?​


স্নানের জায়গা সুন্দর করে বানাতে চাইলে শাওয়ার কিউবিক্যাল ভাল বিকল্প। স্নানের কাচঘর বলা যেতে পারে। মোটামুটি ষোলো থেকে কুড়ি বর্গ ফুট জায়গা পেলেই করে ফেলা যায় এটা। রেডিমেড পাওয়া যায়, আবার নিজেরাও অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যায়।

কিছুটা বড় বাথরুম হলে বাথটাব লাগানোটাও খুব কঠিন কিছু নয়। মোটামুটি ভাবে আশি থেকে একশো বর্গফুট বাথরুম হলেই খুব ভাল বাথটাব লাগানো যায়। বিভিন্ন আকারের বাথটাব পাওয়া যায়। ছোট আকারের বাথটাবও পাওয়া যায়, সেখানে অবশ্য পুরো শরীর ছড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেরামিক, ফাইবার, মার্বেল বা গ্রানাইট দিয়ে তৈরি, এমনকি কাচের তৈরি বাথটাবও পাওয়া যায় আজকাল।

কিছু দিন আগে একটি বাথরুমের নকশা হল এই শহরেই। বেসিন এবং কোমোডের অংশটুকু ছাদের তলায়, কাচ দিয়ে পাঁচিল দেওয়া। স্নানের অংশটুকুর আকাশ খোলা। দেওয়ালে আধুনিম শাওয়ার প্যানেলের ব্যবস্থা রয়েছে যদিও, কিন্তু বৃষ্টির জলে যাতে ভিজে স্নান করা যায়, সে ব্যবস্থাও রাখা। এমন অন্য রকম ভাবেও পরিকল্পনা করতে পারেন বাথরুমের। বাথরুমের দেওয়াল খুব গাঢ় রঙের না করে হালকা রাখুন। মেঝে হোক গাঢ় রঙের পাথরের বা টাইলসের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE