Advertisement

মনের মতো রঙে সেজে উঠুক ঘরের দেওয়াল

ঘরের দেওয়ালে রঙের ক্ষেত্রে সেরা পছন্দ সাদা, অফ হোয়াইট, অ্যাপেল হোয়াইট ধরনের শেড।

সুদীপ ভট্টাচার্য  
শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ১৬:৪৮
Share: Save:

বাড়ির দেওয়াল যেন মনের আয়না। অন্দরসজ্জার ভালো-মন্দ সবটার প্রতিবিম্ব ঘরের দেওয়ালের সেজে ওঠার মধ্যে পাই আমরা। একটা ঘর সেজে উঠল খুব ভাল করে- দামি আসবাব-সহ সব কিছুই খুব মনের মতো। শুধু রঙের ক্ষেত্রে কোথাও যেন একটু ফাঁকি, ভাল না লাগা। আর ঠিক তাতেই সুর গেল কেটে। স্রেফ ঘরের রং সঠিক না হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ অন্দরসজ্জা নিমেষের মধ্যে বাতিলের দলে!

ঘরের আসবাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রং করতে হয় ঘরের দেওয়াল। আজকাল ভাল অন্দরসজ্জার ক্ষেত্রে খুব চকচকে রং; হরেক রকম রং; বিভিন্ন দেওয়ালে আলাদা রং; তিন দেওয়াল একরঙা, এক দেওয়ালে আলাদা রং- এমন সব ভাবনাই বাতিলের দলে প্রায়। খুব ওয়ার্ম কালার সাধারণত ব্যবহার করা হয় না ঘরের দেওয়ালে। হরেক শেডের রং ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে, কারণ বিভিন্ন উজ্জ্বল রং কিছু দিনের মধ্যেই একঘেয়েমি তৈরি করে দেয়।

ঘরের আসবাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রং করতে হয় ঘরের দেওয়াল।

ঘরের দেওয়ালে রঙের ক্ষেত্রে সেরা পছন্দ সাদা, অফ হোয়াইট, অ্যাপেল হোয়াইট ধরনের শেড। রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব বেশি বিপ্লবী না হওয়াই ভাল। বরং সুন্দর অন্দরসজ্জার সঙ্গে মিলিয়ে সুন্দর রং করাটাই আসল কাজ। আসবাবের ক্ষেত্রে বরং উল্টো। বিভিন্ন রংয়ের ল্যামিনেশনের আসবাব হলে ঘরের রং ততটাই ভেবেচিন্তে প্রয়োগ করা দরকার। ভিনিয়ার ফিনিশ হলেও তাই। এই কম্বিনেশনটা সামান্য এ দিক-ও দিক হয়ে গেলেই মুশকিল। খারাপ দেখাবে অন্দর।

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই চটজলদি ঘর গোছান, রইল টিপস

রং শুরু করার আগে দেওয়াল যতটা সম্ভব মসৃণ করে নেওয়া দরকার। প্যারিস তো থাকবেই, পাটা প্যারিস হলে খুব ভাল। কিংবা পুট্টি হলে তার ফিনিশ সুন্দর হওয়া দরকার, যাতে দেওয়ালে সামান্য উঁচুনিচুও না থাকে। তার পরে অন্তত দু’বার প্রাইমার করে তার উপর দিয়ে কমপক্ষে দু’বার রংয়ের ফিনিশ হওয়া জরুরি। খুব দামি রঙের ক্ষেত্রে যেটা হয়- রঙের দামটা একটু বেশি হলেও কভারেজ খুব ভাল আসে।

সুন্দর অন্দরসজ্জার সঙ্গে মিলিয়ে সুন্দর রং করাটাই আসল কাজ।

এখন বিভিন্ন কোম্পানি ঘরে রঙ করে দেওয়ার কাজ করে। দামের রকমফের আছে। আবার খরচ অনেকটা কম হয় নিজেরা মিস্ত্রি ডেকে রং করিয়ে নিলে। এ ক্ষেত্রে খুব ভাল মানের রঙ করে নেওয়া যায় প্রায় এক চতুর্থাংশ খরচে। আলাদা করে রঙের ক্ষেত্রে মিস্ত্রির খরচ আর মেটিরিয়াল খরচের মধ্যে অনেকটা রকমফের আছে। মিস্ত্রির খরচ বেশি- প্রায় ষাট শতাংশ, চল্লিশ শতাংশ হয় রঙের দাম।

আরও পড়ুন: থাক হোম থিয়েটারের ঘর, বাড়িতেই পান সিনেমা হলের মজা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE