Advertisement
Durga Puja 2020

‘ওয়ার্ম’ কিংবা ‘কুল লাইট’, ঘরে এ বার শরতের রোশনাই

আলোর ব্যবহারে এবং আলোর রঙে জীবনের অনুভূতি মিশে থাকে। বসার ঘরে বা ডাইনিং রুমে তাই ‘ওয়ার্ম লাইট’ দরকার হয়, কিন্তু শোওয়ার ঘরে ‘কুল লাইট’ বেশি পছন্দের।

‘ওয়ার্ম’ এবং ‘কুল’, এই দু’ধরনের আলো ব্যবহার করা হয় অন্দরসজ্জায়। ফাইল চিত্র।

‘ওয়ার্ম’ এবং ‘কুল’, এই দু’ধরনের আলো ব্যবহার করা হয় অন্দরসজ্জায়। ফাইল চিত্র।

সুদীপ ভট্টচার্য
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৫৪
Share: Save:

আধুনিক সময়ে আধুনিক অন্দর। তাই ঘরের ক্ষেত্রে আলোর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত কৃত্রিম আলো। এ দিকে প্রাকৃতিক আলোর উৎসকেও অবহেলা করা যাবে না। বরং তা আরও বেশি সংবেদনশীল। ঘরের প্রতিটি অংশে, আসবাবপত্রের নানা জায়গায় প্রাকৃতিক আলো যাতে আসে, সে দিকে নজর দেওয়া দরকার। আধুনিক আসবাবপত্রের নকশা একেবারেই ছিমছাম। সুতরাং ঘর খুব বেশি ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই প্রাকৃতিক আলোর উৎসর দিকে নজর দিতেই হবে।

কৃত্রিম আলো সৌন্দর্য বাড়ায়, তাই অন্দরের সাজে আলোর ব্যবহার ঘরকে আরও মনোরম করে তুলতে পারে। ‘ওয়ার্ম’ এবং ‘কুল’,এই দু’ধরনের আলো ব্যবহার করা হয় অন্দরসজ্জায়। নিয়ন আলো কিংবা এলইডি-র আলো ঘর এবং মনকে শান্ত করে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে উষ্ণ-হলদেটে বা ওয়ার্ম আলোর ব্যবহারে মন ভাল হয়ে যায়, প্রাণশক্তি ফিরে পাওয়া যেন। কোনও ক্ষেত্রে এলইডি ব্যবহার করেও ‘ওয়ার্ম’ আলো ব্যবহার করা যায়। তবে এখন হ্যালোজেন ব্যবহার করা হয় না। ঘরের বিশেষ কিছু জায়গা, যেটা আলো দিয়ে সাজিয়ে তুললে দারুণ লাগতে পারে, সেই জায়গাগুলোকে স্পট লাইট, আপ কিংবা ডাউন লাইট, স্টিপ লাইট— এসব দিয়ে আলোকোজ্জ্বল করে তোলা হয়।

আলোর ব্যবহারে এবং আলোর রঙে জীবনের অনুভূতি মিশে থাকে। বসার ঘরে বা ডাইনিং রুমে তাই ‘ওয়ার্ম লাইট’ দরকার হয়, কিন্তু শোওয়ার ঘরে ‘কুল লাইট’ বেশি পছন্দের। খাটে বসে বা স্টাডি টেবিলে বসে বই পড়ার জন্য বা অন্য কোনও কাজ করার জন্য ‘স্পট লাইট’ কিংবা ‘ওয়াল মাউন্টেড লাইট’ লাগালেই চলে।

আরও পড়ুন: শরতের মিঠে রোদে ঘরে আসুক পুজোর গন্ধ

সোফার পাশে সুন্দর ‘আপ লাইট’ অন্দরসজ্জাকে নান্দনিক করে তোলে। ফাইল চিত্র।

মানুষের কর্মোদ্যোগ বা প্রাণশক্তির উপরেও আলোর প্রভাব যথেষ্ট। মানুষের মস্তিষ্ক উজ্জীবিত হয় ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কোন আলোয় জানেন? সাদা বা নীল আলোয়। আবার বলা হয়, হলুদ আলোয় মস্তিষ্ক শান্ত হয়। সে কারণেই পড়ার ঘরের জন্য সাদা বা শীতল আলো ভাল এবং ঘুমনোর জন্য হলদে বা উষ্ণ আলো কাজ দেয় বেশি।

জীবনের প্রতিটি আলাদা আলাদা কাজের জন্যে আলোর আলাদা আলাদা ব্যবহার থাকে। একটা ঘরে ঠিক কতটা আলো দরকার সেটাও কিন্তু বিজ্ঞান। লাইট মিটার দিয়ে আলাদা আলাদা ঘরের আলো মেপে ব্যবহার করা হয় তাই। আলোকচিত্র বা আঁকার উপরে যেমন ‘পিকচার লাইট’ দরকার, সোফার পাশে একটা সুন্দর ‘আপ লাইট’। এই আলো প্রতিফলিত হবে সিলিংয়ের অংশ থেকে।

আরও পড়ুন: এই সব উপায়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন বইঘর

অন্দরসজ্জায় আলোর ব্যবহার সাধারণত সরাসরি করা হয় না। আলোকে সিলিংয়ে বা দেওয়ালে প্রতিফলিত করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সারা ঘরে। সরাসরি আলোর উৎস চোখে এসে ব্যাঘাত যাতে না ঘটায়, তাই এই ব্যবস্থা। আলোয় থাকুন, ভাল থাকুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE