এসিতে ঘুমোনো ভয়ের কেন? ছবি: সংগৃহীত।
অফিস থেকে বাড়ি— সর্বত্রই এসি চলছে। মাঝে যাতায়াতের রাস্তাটুকু ছাড়া প্রায় ১৮ ঘণ্টাই ঠান্ডা ঘরের মধ্যে থাকেন। সারা দিনের পরিশ্রমের পর বাড়ি ফিরে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে গেলেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্রটির খোঁজ পড়ে। কোনও মতে বাড়ির কাজকর্ম সেরে ঠান্ডা ঘরে ঢুকে পড়াই এখন সকলের লক্ষ্য। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, রাতে টানা এসি চালিয়ে ঘুমোনোর বিড়ম্বনা রয়েছে। এসি চলতে চলতে অনেক সময়েই ঘর প্রচণ্ড ঠান্ডা হয়ে যায়। তখন কাঁপুনি দিলেও ঘুম থেকে উঠে এসি বন্ধ করতে ইচ্ছে হয় না। আবার, সঙ্গীর গরম লাগছে বলে চাইলেও এসির তাপমাত্রা বাড়াতে পারেন না অনেকে। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।
সারা রাত এসি ঘরে ঘুমোলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা:
অ্যাজ়মা বা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকলে রোজ এসি চালিয়ে ঘুমোনো কিন্তু বিপজ্জনক। সর্দি-কাশি, হাঁচি কিংবা শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিছুতেই কমবে না। চাইলে শুতে যাওয়ার কিছু ক্ষণ আগে এসি চালিয়ে ঘরের তাপমাত্রা কমিয়ে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেয়াল করে এসি বন্ধ করে দিতে হবে। বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্রটির তাপমাত্রা এমন অবস্থায় রাখতে হবে, যাতে বাইরের সঙ্গে ঘরের আবহাওয়ার খুব ফারাক না হয়।
২) ড্রাই আইজ়, শুষ্ক ত্বক:
যতই ক্রিম মাখুন না কেন, এসিতে ঘুমোনোর অভ্যাস কিন্তু ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক করে তুলতে পারে। এসি ঘরে ঘুমোলে অনেক সময়ে চোখেরও সমস্যা দেখা দেয়। এসি-র প্রকোপে ‘ড্রাই আইজ়’-এর সমস্যা হতে পারে। অভিজ্ঞরা বলছেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্রটি ঘর ঠান্ডা করার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও কমিয়ে দেয়। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
৩) পেশির ব্যথা:
রাতে এসি চালিয়ে শান্তির ঘুম ঘুমোলেন। কিন্তু সকালে ঘুম ভাঙল সারা শরীরে ব্যথা নিয়ে। চিকিৎসকেরা বলছেন, সারা রাত এসি চালিয়ে ঘুমোনোর ফলে দেহের পেশিগুলি শক্ত হয়ে যায়। অস্থিসন্ধির ব্যথা বাড়তে থাকে। আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে তো কথাই নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy