এমন খাবারেই ধীরে ধীরে ফিরুন রুটিনে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
দুর্গা পুজো মানেই বাঙালির হইহুল্লোড়ের অন্ত নেই। নাচ, গান, আড্ডা আর প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে থাকে খাওয়াদাওয়া। সারা বছরের ডায়েট রুটিন ভুলে অতি বড় স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ভাগ বসায় ইচ্ছামতো খাবারে।
কিন্তু পুজো তো শেষ। সারা বছর যদি এহেন খাবার অভ্যাস রাখেন তা হলে কিন্তু সমস্যা আছে। তাই মায়ের বিদায়ের সঙ্গেই বিদায় জানান পুজোর কয়েক দিনের অনভ্যাসের খাওয়াদাওয়াকে। কিন্তু যদি হঠাৎ করে সব বদলাতে চান, তা হলেও বিপদে পড়বেন। তাই পুজোর পরে এই বার ধীরে ধীরে ফিরুন ডায়েটে।
পুজোর কয়েক দিনই নিশ্চয় অবাধে চলেছে ফাস্ট ফুড খাওয়া। তাই সবার আগে বিদায় জানান তাদের। রোজের ব্রেকফাস্টে কয়েকটা দিন বাদ থাকুক ব্রেড-অমলেটও। বরং প্রাতঃরাশের নতুন ডায়েট রুটিনে থাকুক কর্নফ্লেক্স জাতীয় খাবার।
আরও পড়ুন: উৎসবের মরসুমের অবাধ্য শরীরকে এ বার বশে আনুন এই সব উপায়ে
আজ থেকেই খাবারের তালিকা থেকে বাদ পড়ুক তেল ও ভাজা জাতীয় খাবার। স্যুপ, স্টু ও সিদ্ধ খাবারে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা শুরু করুন। যথাসম্ভব কম তেল দিয়ে রান্না করুন ও এড়িয়ে চলুন অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার। খুব ইচ্ছা করলে হালকা তেলে ভাজা কিছু খান।
ভাত খান কম পরিমাণে। ভাতের সঙ্গে থাকুক রুটি। আর খাবার পাতে রাখুন প্রচুর পরিমানে শাক-সব্জি লাঞ্চে ভাতের জায়গায় খেতে পারেন ওটসের খিচুরিও।
দশমীতে মিষ্টি খাওয়া তো হবেই। তাতে কেউ বাধ সাধছে না। কিন্তু পুজোর পরে মনোনিবেশ করুন স্কিমড মিল্কে। আর যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন ভাজা মিষ্টির হাতছানিকে।
আরও পড়ুন: ভাসানে নাচার পরিকল্পনা? তার আগে খতিয়ে ভাবুন এ সব
খাবারের শেষে মেনুতে থাক দই। আর সঙ্গে রোজ খান লেবু জাতীয় ফল। এই কয়েক দিনে যথেচ্ছ অত্যাচার হয়েছে ত্বকের স্বাস্থ্যের উপরেও। এগুলি শরীরের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার সঙ্গেই সুস্থ রাখবে ত্বককেও।
শুধুমাত্র খাবারে নজর দিলে চলবে কেন! শরীরকে ফিট রাখতে শুরু করে দিন নিয়মিত যোগাভ্যাস। রোদ সকালে হাঁটার অভ্যাস করুন সময় করে। আর পারলে কয়েক দিন ঘাম ঝরান ট্রেডমিলে।
পুজোর আনন্দে রাশ টেনে এবার আগমনীর বিদায়ের পালা। তাই সময় এসেছে পুজোর কয়েক দিনের অভ্যাসকেও বিদায় জানানোর। তাই এমন কিছু পদক্ষেপেই সুস্থ রাখুন নিজেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy