Advertisement
ASIAN PAINTS

এশিয়ান পেইন্টসের ছোঁয়ায় শহর জুড়ে গানে গানে পুজোর রং

এশিয়ান পেইন্টসের সঙ্গে সেই নীল রংকে গানের সুরে বেঁধেছে ক্যাকটাস।

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৪৮
Share: Save:

ইয়াঃ দেবী সর্বভূতেষু,

শক্তিরূপেণ সংস্থিতা...

মণ্ডপ থেকে রেস্তরাঁ, রাস্তা জুড়ে লম্বা লাইন। মণ্ডপে মণ্ডপে গান। এলাহি আয়োজন - কারণ শহর জুড়ে পুজোর মেজাজ। শরতের সকালের পেঁজা তুলোর মতো মেঘ থেকে সন্ধ্যের লাল-নীল-হলুদ টুনি থেকে ঝাঁ চকচকে লাইটিং — তিলোত্তমায় যেন চলছে নানান রঙের খেলা। সেই সঙ্গে পুজোর শেষ বেলায় এসে সেই সমস্ত কিছু আরও বেড়ে গিয়েছে!

মাতৃবন্দনার আনন্দে এখন মাতোয়ারা শহরবাসী। আর সেই আনন্দকে আরও একটু বাড়িয়ে দিতে, শহরকে আরও একটু বেশি রঙিন করে তুলতে, প্রতি বছরের মতো এই বছরেও সামিল হয়েছে এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান। যাদের ছোঁয়ায় প্রতিটি ঘরের মতো শহরের প্রতিটি কোনা হয়ে ওঠে আরও রং-চংয়ে। যাদের ছোঁয়ায় উৎসবের আনন্দ আজ হয়ে উঠেছে সর্বজনীন। যারা শহরে গানে গানে ছড়িয়ে দিচ্ছে পুজোর রং।

যেমন শরতের আকাশ জুড়ে নীলের গান মানেই পুজো আসছে। ডানা মেলে উড়ে যাওয়া নীলকণ্ঠ পাখি আর নদীর জলে ফুটে ওঠা নীল পদ্ম। পুজোর আগে তিলোত্তমার হৃদপিণ্ড থেকে যেন ঠিকরে বের হয় নীলচে আভা। ঢাকের তালে যেন আকাশ হয়ে ওঠে আরও স্নিগ্ধ। মায়ের আগমনী সুরে শহর যেন হয়ে ওঠে নীলচে। উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠা আপামোর জনতা। আর এশিয়ান পেইন্টসের সঙ্গে সেই নীল রংকে গানের সুরে বেঁধেছে ক্যাকটাস।

আচ্ছা, পুজোর রং বলে আবার কিছু হয় না কি! বাঙালির পুজো তো চিরকালীনই সাদা ক্যানভাসের মতো। যেমন ভাবে আঁকা হবে, তেমন ভাবেই প্রাণ পাবে ক্যানভাস। আকাশের নীলের ছোঁয়ার পরে মহালয়ার ভোরের হলুদ আহ্লাদ। সাদা-মাটা হলদে মুর্তিতে চক্ষুদান। শিল্পীর তুলির এক আঁচড়ে যেন জেগে ওঠেন মা। পিতৃপক্ষের অবসানে শুরু হয় মাতৃবন্দনার সকাল। আকাশ-বাতাস একসঙ্গে বলে ওঠে — এই তো পুজোর শুরু। আর পুজোর এই হলুদ আহ্লাদকে এশিয়ান পেইন্টসের সঙ্গে গানের সুরে বেঁধেছে গোঁসাই গ্যাং।

নীল-হলুদ তো গেল, দুর্গা পুজোর সময় আর লালের ছোঁয়া থাকবে না তাই কখনও হয়! লালের ছোঁয়ায় প্রাণ পায় মায়ের পুজো। মায়ের কপালে শোভা পাওয়া লাল টিপ থেকে অষ্টমীর লাল শাড়ি! কিংবা রক্ত জবায় মায়ের পায়ের অঞ্জলি থেকে বিদায় বেলায় সিঁদুরে রং। উৎসবের রং মানেই তো লাল। যে রং মন মাতায়, যে রং প্রেম নিবেদন করে, যে রং শহরের পুজোকে এক অন্য মাত্রা দেয়। সেই রংকেই এশিয়ান পেইন্টসের সঙ্গে পুজোর গানের সুরে বেঁধেছে লক্ষীছাড়া।

পুজো মানেই অনাবিল আনন্দ। আর সেই আনন্দের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেওয়া আপামোর জনতা। শহরের মাঝে উপচে পড়া ভিড়। আর এক সঙ্গে এক সুরে বলে ওঠা — বলো দুর্গা মাই কি! শহরে পুজো আসে, পুজো চলেও যায়। বেঁচে থাকে শুধু রং আর গানের সুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE