স্মৃতির পুজো
-
পুজো নয়, আমাকে টানে শরৎকাল, আমার পাগল হওয়ার সময়
দুর্গাপুজো নিয়ে আমার কোনও দিনই খুব একটা উৎসাহ ছিল না। পুজো হয়, হই হই রই রই হয়। ঠাকুর দেখা, বিজয়ায় কোলাকুলি, নাড়ু-তক্তি-মোয়া সাঁটানো, সবই ভাল লাগত।
-
সাধের মুখোশ চেহারা পাল্টে কেমন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেল জীবনে!
ছোটবেলায় সেই মুখোশ পরে বাড়িতে ঢুকলে যিনি সামনে পড়তেন, তিনিই আঁতকে উঠে-- ‘আরিব্বাস! বাড়িতে একটা সিংহ ঢুকে পড়ল কোথা থেকে!!’
-
মা দুগ্গা আসবেন, তাই ঝেড়েপুঁছে সেজে উঠত ঘরদোর
এই যে এত ঝাড়াঝুড়ি, রংচঙ করা—এ তো সবই ঘরদোরের সঙ্গে মনের ময়লাকেও সাফ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নেওয়ার একটা ছুতো মাত্র।
-
পুজোর হাওয়া আর পোড়-খাওয়া চিরকুটের গল্প, লিখছেন শ্রীজাত
আজ যখন ল্যাপটপের ফর্সা স্ক্রিনে ফুটে উঠছে এই লেখা আর বাইরে গন্ধ পাচ্ছি পুজোর, ওই পোড়-খাওয়া চিরকুটটার কথা খুব মনে পড়ছে।
-
পুজোর আনন্দের মধ্যেই ছিল পরীক্ষার ভয়ের কাঁটা
আমাদের স্থানীয় ডাকঘরের পোস্টম্যান নিতাইদা দরজায় এসে হাঁক দিতেন- পার্সেল আছে, সই করে নিতে হবে।
-
পুজোর প্রাপ্তি ছিল ঠাকুরমার তৈরি পাউরুটির মিষ্টি আর নিমকি
বন্ধুদের সঙ্গে ফুচকা-আলুকাবলি খাওয়াটা এখনও খুব মিস করি। আর মিস করি ঠাকুরমার হাতে তৈরি স্পেশাল মিষ্টিগুলো।
-
ঘট আর ঘটার লড়াই দেখে মা মুচকি হাসলেন!
প্রবাসে ‘পুজো করিয়ে’ চুল পাকিয়ে ফেলা ঘোষালদা এ বার মিছিমিছি নিভৃতাবাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
-
সন্ধিকাল
শুধু শিহরন আর কল্পনার সুখ নয়, প্রেম তাহলে প্রহার। আঘাত। শাসন ও অত্যাচার। এবং বিচ্ছেদ।