Advertisement
Durga Puja Celebration

পুজোর ফ্যাশনে জিনস নয়, লেহেঙ্গার সঙ্গে জুটি শার্টের

শাড়ি তো আছেই, তবে এবার বঙ্গনারী মজেছে ‘ড্রেসে’।

বেনাচিতি বাজারের একটি দোকানে কেনাকাটা চলছে। ছবি: বিকাশ মশান।

বেনাচিতি বাজারের একটি দোকানে কেনাকাটা চলছে। ছবি: বিকাশ মশান।

অর্পিতা মজুমদার
শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:৪৭
Share: Save:

পাঁচ থেকে পঞ্চাশ সকলের জন্যই রয়েছে গোড়ালি বা হাঁটু অবদি লম্বা ঝুলের ড্রেস, কোনওটা এক কাটের, কোনওটা আবার অনেক ঘের দেওয়া। যার যা পছন্দ তেমন কাপড়, রঙের এই ড্রেস মিলছে শপিং মল থেকে সাধারণ দোকান সবেতেই। দামও সাধ্যের মধ্যেই।

পুজোর চার দিন প্রত্যেকেই নিজেকে একটু অন্যভাবে দেখতে চান।চেনা লোকগুলোর চোখে নতুন মুগ্ধতা দেখতে চান। তাই মাস খানেক আগে থেকেই এ দোকান সে দোকান ঘুরে বাজার করা, ফ্যাশন দুরস্ত পোশাক কিনে বাড়ি ফেরা শুরু হয়ে যায়। দুর্গাপুরের বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, চুড়িদার, সালোয়ার ছেড়ে লম্বা ঝুলের পোশাকে মন তরুণী, কিশোরীদের। আর পালাজো, জিনস তো আছেই।তার সঙ্গে বেলুন টপ, কাফতান টপও বিক্রি হচ্ছে ভালই। চাহিদা রয়েছে হারেম প্যান্টের সঙ্গে ছোট কুর্তি, ধুতি প্যান্ট, রঙিন ট্রাউজার্স, লম্বা স্কার্ট, কাফতান ড্রেস, বাটারফ্লাই ড্রেস, পেনসিল স্কার্টের। ড্রেসের ওপর লম্বা জ্যাকেটও বেশ সাড়া ফেলেছে এবার।অনেকেই জিনস-টপ, তার সঙ্গে বাহারি জ্যাকেটে নজর কাড়তে চাইছেন।

অনেকে আবার পুজোর ভিড়ে আলাদা হতে শার্টের সঙ্গে লেহেঙ্গার জুটি বাঁধছেন। তরুণীদের কথায়, লেহেঙ্গা সাধারণত গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা চোলি ও দোপাট্টা দিয়েই পরা হয়। কিন্তু ছোট ঝুলের শার্ট বা ক্রপ টপের সঙ্গেও লেহেঙ্গা ততটাই আকর্ষক। তবে এ ক্ষেত্রে লেহেঙ্গা বেশি ঝকমকে না হওয়া ভাল। এর সঙ্গে উঁচু অগোছালো খোঁপা, একটা ভারী নেকপিস সাজে এনে দেবে অন্য মাত্রা। স্কার্টের ঢঙে লেহেঙ্গা হলে ছাপা বা স্ট্রাইপড শার্টও পড়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন: প্রাণের দুই ফুল হারিয়ে মালা গাঁথছেন দম্পতি​

আরও পড়ুন: উচ্চারণ ও পুজোর পাঠ দিতে কার্তিকের প্রশিক্ষণ​

তবে পুজোর চারদিনের মধ্যে একদিন অন্তত শাড়ি চাই-ই। এবার সপ্তমীর রাতে উজ্জ্বল শাড়ি, অষ্টমীর সকালে হাল্কা রঙের চওড়া পাড়ের শাড়ি আটপৌড়ে করে পরার কথা বলছেন ডিজাইনাররা।সঙ্গে সাবেক লালটিপ, সোনার গয়নার বদলে রুপোর গয়না পরা যেতে পারে।নবমীর রাতে গায়ে উঠতে পারে তসর বা সিল্কের শাড়ি।আর বিসর্জনের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে দশমীতে দরকার লাল পাড়, সাদা বেস কালারের বুটি বা সুতোর কাজের শাড়ি।

তবে সবটাই যে পরিকল্পনা মেনে হবে এমন নয়।অনেকেই ফ্যাশনে ‘ইন’-‘আউট’, অত শত না ভেবে নিজের পছন্দে আলমারি ভরিয়ে ফেলেছেন। সুতরাং পুজোর সাজের একটাই শর্ত— খুশি মনে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে সাজুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE