ছোটবেলায় দাদু-ঠাম্মার কাছে বসে রূপকথার গল্প শোনার ছবিটা এখন অনেকটাই ফিকে। অনেকেই বলে থাকেন, ভিডিয়ো গেম আর প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে ছোটবেলা থেকে এখন হারিয়ে গিয়েছে পরিরা। সেই কথা মাথায় রেখেই এ বার পুজোয় পরিদের থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের তরুণ দল সর্বজনীন।
জলপাইগুড়ি শহরের বড় বাজেটের দুর্গাপুজোগুলোর মধ্যে পরিচিত তরুণ দলের পুজো। এ বার ৬০ বছরে পড়ল এই পুজো। পুজোর থিম ‘পরীর দেশ’।
আয়োজকরা জানাচ্ছেন, এ বার মণ্ডপে ঢুকেই দর্শনার্থীদের নজরে পড়বে নানা ধরনের পরির মডেল। উদ্যোক্তাদের পক্ষে বিপ্লব সরকার জানান, স্থানীয় শিল্পীরাই এ বছরের পুজোর মণ্ডপ তৈরি করছেন। বাঁশ, প্লাইউড, কাঠ, সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই থাকছে আলোকসজ্জা। এছাড়া মূর্তিতেও বিশেষত্ব থাকছে বলেজানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিল্পীর প্রেরণায় প্রতিমার চোখ আঁকেন মধুমন্তী
উদ্যোক্তাদের দাবি, দর্শনার্থীদের কাছে তরুণ দলের পুজোর আকর্ষণ বরাবরই রয়েছে। পুজোর ক’দিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামতেই দর্শনার্থীদের ভিড়ে মণ্ডপ উপচে পড়ে বলে দাবি পুজো কমিটির।
গভীর রাত পর্যন্ত এখানে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে। মণ্ডপ সজ্জা, আলোক সজ্জা ও প্রতিমায় বরাবরই নতুনত্বের ছোঁয়া থাকে বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন:পূর্ব কলকাতার আরও কিছু পুজোর খুঁটিনাটি
বিপ্লব সরকার বলেন, ‘‘পুজোর বাজেট প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই চাঁদা আদায়ের কাজ শুরু করা হয়েছে।’’ পুজোর খরচ থেকে বাঁচিয়েই প্রতি বছরের মতো এ বারেও কিছু দরিদ্র বাসিন্দাদের হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। এছাড়াও দুঃস্থদের খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
তরুণ দলের পুজো মণ্ডপে পরিবেশ রক্ষার আবেদন জানিয়ে সদস্যরা প্রচার চালাবেন বলেও দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা। বসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy