খুদেকে বইয়ের প্রতি আসক্ত করবেন কী ভাবে? ছবি: শাটারস্টক।
স্কুলে পড়াশোনার চাপ। তার পরে বাড়ি ফিরে টিউশনে যাওয়া। নাচের স্কুলে যাওয়া। আঁকার শিখতে যাওয়া। এমন নানা রকম কারণে অধিকাংশ শিশুই এখন গল্পের বই বা অন্যান্য বই পড়ার সময় পায় না। অথচ আমাদের বেড়ে ওঠা, মস্তিষ্কের বিকাশ, কল্পনাশক্তি গড়ে ওঠার জন্য পড়ার অভ্যাস তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবল জ্ঞানের ভাঁড়ার বাড়াতেই নয়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতেও শিশুদের পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উপর অভিভাবকদের জোর দেওয়া উচিত। সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি এর মধ্যেই পড়ে গিয়েছে, বেসরকারি স্কুলে কিছু দিনের মধ্যেই পড়বে, এই সময়কে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে ছোট থেকেই বাড়ির খুদেটির মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে তুলবেন, রইল হদিস।
ছবি-সহ বই কিনে দিন: ওকে প্রথমে ছবিসহ বই কিনে দিতে পারেন। ছবির নীচে নীচে লেখা থাকলে শিশুরা সেই লেখা পড়ে, ছবি দেখার আগ্রহ নিয়ে। এই ভাবে প্রথমে ওকে বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করান।
গল্প পড়ে শোনান: মুখে মুখে গল্প বলার চেয়ে বই থেকে গল্প পড়ে শোনান। তাতে ওই বইয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। কোনও গল্প আধখানা পড়ুন। বাকিটা জানার আগ্রহ নিয়ে সে নিজেই বাকি বইটি পড়ে ফেলবে। কোনও অভ্যাস এক দিনে গড়ে ওঠে না। এর জন্য নিয়মিত অভ্যাস করতে হয়। বই পড়ার ক্ষেত্রেও তাই। শিশুকে প্রতি দিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে অল্প হলেও বই পড়তে বলুন।
বই পড়ার জায়গাটি সুন্দর করে সাজান: বই পড়ার জন্য একটা পরিবেশ দরকার হয়। বাড়িতে বই পড়ার জন্য একটা আলাদা করে জায়গা তৈরি করুন। জায়গাটি টেলিভিশন বা কম্পিউটার থেকে একটু দূরত্বে থাকলে ভাল। না হলে শিশুর মনোযোগ যাবে ও দিকে। বই পড়ার জায়গাটি সুন্দর করে সাজিয়ে তুলুন, নানান রঙের ব্যবহার করে। তা হলে ছোট্টটির বই পড়ার প্রতি আসক্তি বাড়বে।
পছন্দের বই পড়তে দিন: যে বই পড়তে ভাল লাগছে, সেই বই পড়তে দিন ওকে, জোর করে অন্য বই চাপিয়ে দেবেন না। তা হলে বই পড়ার স্বাভাবিক ইচ্ছেটা থাকবে না।
আপনিও বই পড়ুন: শিশুরা যা দেখে, তার থেকে অনেকটা অনুপ্রাণিত হয়। অবসর সময় মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করে বই নিয়ে বসতে পারেন। আপনি যদি আপনার শিশুর সামনে বই পড়েন, তা হলে তার মধ্যেও বই পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy